নিজস্ব প্রতিনিধি, হুগলি : হাইকোট, রাজ্য সরকার ও গ্রিন ট্রাইবুনালের নির্দেশ মেনেই চলতি বছর চন্দননগরে জগদ্ধাত্রী পুজো হতে চলেছে। শুক্রবার বিকেলে চন্দননগর রবীন্দ্রভবনে জগদ্ধাত্রী পুজো কমিটি, পুলিশ ও সেন্ট্রাল কমিটির বৈঠকে এই সিদ্ধান্তই হয়েছে বলে খবর মিলেছে।
জানা গিয়েছে এদিনের ওই বৈঠকে চন্দননগর পুলিশ কমিশনার, মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন, চন্দননগর কেন্দ্রীয় কমিটি সহ মোট ১৭১টা জগদ্ধাত্রী পুজো কমিটির কর্মকর্তারা হাজির ছিলেন। এদিন ওই জগদ্ধাত্রী পুজোর বৈঠকে বক্তব্য রাখতে ওঠেন চন্দননগরের বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন। বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিধায়ক কেন্দ্রীয় সরকারের সমলচনা করে মুখ্যমন্ত্রী মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূয়সী প্রশংসা করে বক্তব্য রাখেন। কিছুক্ষন বক্তব্য শোনার পরই জগদ্ধাত্রী পুজো কমিটির কর্মকর্তাদের মধ্যে কারও কারও ধহ্যের বাঁধ ভেঙে যায়।
এদিন চন্দননগর লিচুতলা মহিলা দ্বারা পরিচালিত পুজো কমিটির সভাপতি তন্দ্রা ভট্টাচার্য সটাং তার সিট থেকে নেমে মঞ্চের সামনে গিয়ে মন্ত্রীর বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, এটা কোনও রাজনৈতিক মঞ্চ নয়। এটা জগদ্ধাত্রী পুজোর মিটিং। সেখানে কেন রাজনৈতিক বক্তব্য রাখা হবে? এরপর মন্ত্রীর সঙ্গে তন্দ্রদেবী বাকবিতন্ডায় জড়িয় পড়েন। এই ঘটনায় বেগতিক বুঝে তৎক্ষনাত উপস্থিত হয় পুলিশ বাহিনী। ততক্ষনে তন্দ্রাদেবী বলেন, এই সভা আমি বয়কট করলাম। যদিও এই ঘটনায় চন্দননগর লিচুতলা মহিলা দ্বারা পরিচালিত পুজো কমিটির বিরুদ্ধে কোনও বারোয়ারি প্রতিবাদ করেন নি।
যদিও ওই মিটিংএ উপস্থিত একাধিক পুজো কমিটির কর্মকর্তারা জগদ্ধাত্রী পুজোর মিটিংএ রাজনৈতিক বক্তব্য রাখাটাকে মোটেও ভালো ভাবে নেননি। যদিও তারা প্রকাশ্যেও কিছু বলেন নি।
এই প্রসঙ্গে এক পুজো কমিটির কর্মকর্তা বলেন, সবাই প্রফেশনাল বক্তা হয় না। যারা প্রফেশনাল বক্তা তারা খেলার মাঠে এক রকম বক্তব্য রাখেন। রাজনৈতিক মঞ্চে অন্যরকম রক্তব্য রাখেন। কর্মী সন্মেলনে আরেক রকম বক্তব্য রাখেন। যদিও এই প্রসঙ্গে পুলিশ কর্তারা কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
যদিও এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের জেলা সভাপতি দিলীপ যাদবকে প্রশ্ন করা হলে তিনি এই প্রসঙ্গে কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
No comments:
Post a comment